আজ - | | হিজরী

মিয়ানমার থেকে কেউ অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জগন্নাথ হলে ছাত্রলীগের মারামারি, আহত ১৫ । স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে বহুমাত্রিক প্রচেষ্টা চলমান : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ।    জুলুম-অত্যাচার ইসলামে একটি জঘন্য অপরাধ ।শেখ হাসিনার সঙ্গে কাতার ও ডেনিশ প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক। রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা নাভালনি আর নেই । নিহতের প্রত্যেক পরিবার পাবে ২০ হাজার টাকা। রমজানে কোনো পণ্যের সংকট হবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ।     শাহ আমানতে ৬৪ পিস স্বর্ণের বার জব্দ ।ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিতে যাচ্ছে রুশ বাহিনী । ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিতে যাচ্ছে রুশ বাহিনী । নিহতের প্রত্যেক পরিবার পাবে ২০ হাজার টাকা ।    কারামুক্ত ফখরুল–খসরুর বাসায় গেলেন বিএনপি নেতারা । ইজারার টাকা বকেয়া, পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট । রমজানে কোনো পণ্যের সংকট হবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ।    বিএনপি নেতারা এখন আত্মসম্মান রক্ষায় বাগাড়ম্বর করছেন : নানক । ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে ভাঙচুর । ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩ ।   

ব্যাপক অপপ্রচারের মধ্যেও বৈশ্বিক সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ সরকার : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নিউজ ডিপিসি বাংলা টিভি
  • আপডেট টাইম :   সোমবার | জুলাই ২৯, ২০২৪ | ১২:০০ এএম
  • ১০ বার
মোঃ সাহাদাত হোসেন আসিফ

সরকার ও জনগণের সময়োপযোগী ও যথাযথ পদক্ষেপের কারণে সামগ্রিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে বলে সকল আন্তর্জাতিক অংশীদারকে আশ্বস্ত করেছে সরকার। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোববার (২৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘অপপ্রচার, ভুল ও মিথ্যা তথ্যের ব্যাপক প্রচারের মধ্যেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অকুণ্ঠ সমর্থন ও বোঝাপড়ার জন্য সরকার তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা ১৪৭ জনে পৌঁছেছে। সরকার নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে তাদের জন্যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের তদারকি করছেন এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জীবিকার সুযোগের আশ্বাস দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় সুশীল সমাজের সংগঠন ও গণমাধ্যমসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক অংশীদার যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তা বাংলাদেশ সরকার লক্ষ্য করেছে।

সরকার একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্কে জড়ানোর  আশায় রয়েছে, যা তরুণদের জন্য তাদের মতামত শোনা এবং একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরির সম্ভাবনা উপলব্ধি করার সুযোগ দেয়।

সহিংসতায় ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারগুলো যে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছে, তা মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার প্রতি সরকার সংবেদনশীল রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এটা এখন স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার রাজত্ব কায়েম করতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ব্যবহার করেছে। তারা কিছু সহিংস চরমপন্থী গোষ্ঠীর সমর্থনও তালিকাভুক্ত করেছিল এবং জনজীবন ব্যাহত ও অর্থনীতিকে স্তব্ধ করে দিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার জন্য তাদের অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হয়।

একই স্বার্থান্বেষী মহল এখন তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আইনানুগ প্রতিক্রিয়াকে ‘শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমন’ হিসেবে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরার অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংশ্লিষ্ট ছাত্রনেতারা প্রকাশ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখার ঘোষণা দিলেও এ ধরনের বিকৃত প্রক্ষেপণ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

জনগণের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় বেসামরিক শক্তির সহায়তায় আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন এবং নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে কারফিউ জারির প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনকে গুলিয়ে না ফেলার জন্য সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে, গত ৫ জুন হাইকোর্টের রায়ের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছিল। ২০১৮ সালে সরকার নিজেই কিন্তু এই আইন বিলুপ্ত করেছিল! সরকারের সুস্পষ্ট নির্দেশে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবারও প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পূর্ণ প্রয়োগ নিশ্চিত করেছে। সরকার এই সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রপতির কাছে একটি প্রতিবাদ স্মারকলিপি পৌঁছে দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থাও নিয়েছিল।

শুরু থেকেই সরকার স্পষ্ট করেছে যে, কোটা সংস্কারের প্রশ্নে তাদের নিজস্ব অবস্থান মূলত ছাত্র আন্দোলনকারীদের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায় বাতিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল  করা এবং রায় ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেয়। পরবর্তীকালে, প্রধানমন্ত্রী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করার জন্য একটি মন্ত্রিপরিষদ কমিটিও নিয়োগ করা হয়। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগের গত ২১ জুলাইয়ের রায়ের মাধ্যমে সংস্কার করা কোটা পদ্ধতির ওপর সরকারি গেজেট জারি করা হয়েছে।
 


জাতীয় ক্যাটেগরির আরো সংবাদ